বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালে জাতীয় শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া মোনাজাত শেষে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
যদিও ছাত্রলীগের মধ্যে মারামারি বা অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জানা নেই বলে দাবি করেছে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না।
রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডের শেষ প্রান্তে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেত্রীসহ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে আহত কারোর নাম পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সালাম ও রওনক রহমান জানিয়েছেন, ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শোক দিবস ও একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং দোয়া মোনাতাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এছাড়া অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তারা জানায়, ‘অনুষ্ঠানের শুরুতে সামনে দাঁড়ানো নিয়ে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং বিরোধ বাঁধে। এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের নিবৃত করে। এর পর দোয়া মোনাজাত শেষে মেয়রসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এর পরপরই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পুনরায় হামলা পাল্টা হামলা, মারামারি এবং এই নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ নিয়ে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ছাত্রলীগের এক নেত্রী তাদের ছাড়াতে গেলে তার ওপরেও হামলা হয়। হামলার শিকার ওই ছাত্রলীগ নেত্রী মাটিতে পড়ে চিৎকার শুরু করলে অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় মাহাফুজুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান শেষে দীর্ঘ সময় ধরে এই মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানস্থলে চেয়ার ভাঙচুরও করে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে সিনিয়র নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ায় কেউ তাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনি। পরে ওয়ার্ডের লোকজন এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে যারা মারামারি করেছে তাদের কেউ চেনে না। মারামারির পর উভয় পক্ষই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহমেদ মান্না বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষে আমরা সবাই বেরিয়ে এসেছি। যতসময় অনুষ্ঠান হয়েছে ততক্ষণে কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা বেরিয়ে আসার পরে কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা আমার জানা নেই।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো ধরণের মারামারির খবর জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।