আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সম্পূর্ণ সুস্থ, তবু ইচ্ছে করেই নিজের নাক ও কান কেটেছিলেন। এবার পা কেটে বাদ দিতে চান সেই যুবক। অদ্ভুত শোনালেও ফরাসি যুবক অ্যান্থনি লোফ্রেডো এমনটি করতে ইচ্ছুক।
নিজেকে এলিয়েনের মতো দেখাতেই উদ্ভট ভাবনায় ডুবেছেন তিনি। নিজের অঙ্গচ্ছেদ করতেও পিছপা হচ্ছেন না।
ভিনগ্রহীদের লুক আনতে শুরুতে নিজের সারা শরীরে ট্যাটু করিয়েছিলেন লোফ্রেডো। তাতেও মনোপুত না হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলে নাক, কান ও হাতের দুটি আঙুল।
এত কিছুর পরও সন্তুষ্ট হননি এই ফরাসি যুবক। এবার তিনি তার পা কেটে ফেলতে চাইছেন! এভাবেই নিজেকে ‘ব্ল্যাক এলিয়েন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ওঠেপড়ে লেগেছেন লোফ্রেডো।
অ্যান্থনি লোফ্রেডোর বয়স বর্তমানে ৩৩। তবে ২৭ বছর বয়সে তার মাথায় এমন উদ্ভট ভাবনা আসে। সিদ্ধান্ত নেন ‘কালো এলিয়েন’ হবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। সারা শরীরে ট্যাটু করানো শুরু করেন তিনি।
সাপের জিভের আদলে চিরে ফেলেন জিভ। কেটে ফেলেন কান। এবার পা বাদ দেওয়া পক্ষে তিনি।
কঠিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে লোফ্রেডো বলেন, আমার পা সম্পূর্ণ সুস্থ, তাই পা কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব একটা সহজ নয়। তবু তিনি নিজেকে বদলাতে ভালোবাসি। আর সেই কারণে যে কোনো একটি পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ বাদ দিতে চাই।
লোফ্রেডো দেখতে বেশ সুদর্শন ছিলেন। দারুণ সুঠাম ছিল তার শরীর। অথচ এখন তাকে দেখলে যে কেউ ভয় পাবে নিশ্চিত। এলিয়েন হতে গিয়ে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছেন তিনি। মানুষ এখন তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বা পাগল ভাবেন।
এ কথা স্বীকারও করেন লোফ্রেডো। কিছু দিন আগেই গণমাধ্যমকে লোফ্রেডো জানিয়েছিলেন, নিজের এই ভয়ঙ্কর চেহারার জন্য কোথাও কোনো চাকরি পাচ্ছেন না। বহু মানুষ তাকে পাগল ভাবেন।