বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে অনশনে বসেছেন হুমায়ুন কবির নামে এক স্কুলশিক্ষক। নিজ বিদ্যালয়ে চাকরিতে বহাল রাখার দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বটতলায় তিনি অনশন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০১ সালে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয় হুমায়ুন কবিরকে। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু তখন বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না থাকায় পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য অপর একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে চাকরি নেন।
এরপর চলতি বছর পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করে সরকার। কিন্তু এখন হুমায়ুন কবিরকে বিদ্যালয়ে বহাল রাখতে চাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কাজ হয়নি তার। তাই বাধ্য হয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনশনে বসেছেন এই শিক্ষক।
এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ২২ বছর আগে ওই স্কুলে আমার নিয়োগ হয়। তখন এমপিওভুক্ত ছিল না। পরিবার নিয়ে চলতে আমার কষ্ট হওয়াও ২০০৯ সালে অন্য আরেকটি স্কুলে আমি অস্থায়ীভাবে শিক্ষকতা করি। তবে এখন এমপিওভুক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আমাকে স্কুলে রাখতে চাচ্ছে না। তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করছে। কিন্তু আমার পক্ষে এই টাকা দেওয়া সম্ভব না। তাই এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েও কোনো সমাধান না পাওয়ায় অনশনে বসতে বাধ্য হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ বরাবর ইনক্লুড করে পোস্টিং না দিলে এরপর আর সময় থাকবে না। তাই আমাকে ওই বিদ্যালয়ে চাকরিতে বহাল না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।
এ বিষয়ে পুরাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে তিনি চাকরিতে বহাল হতে পারলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে আমার সভাপতি আমলে কখনো এ বিদ্যালয়ে তাকে দেখিনি। এক সপ্তাহ আগে তিনি আমার কাছে এসে চাকরিতে বহাল রাখার দাবি জানান।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।