সিলেটWednesday , 24 August 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

দেশত্যাগের চেষ্টাকালে আটক পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগী, কারা তারা?

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার :
১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনায় পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)

সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারে জড়িত পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার রাতে দেশত্যাগের চেষ্টার সময় তাদের আটক করা হয়।

র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন বুধবার সকালে আটকের বিষয়টি জানালেও তাদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি।

এএসপি আল আমিনবলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে দেশ ত্যাগের সময় পিকে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। এরই ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়।’

এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।

গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

সংস্থাটি পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ইডি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদের মতো বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের সন্ধান পায়।

ইডি গত ৭ জুন আদালতকে জানায়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়ার কথাও ইডি আদালতকে জানিয়েছে।

১১ জুলাই পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের নামে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে সেই অভিযোগপত্রে কী আছে, তা এখনো জানা যায়নি। বাংলাদেশের কাছে কবে তাদের হস্তান্তর করা হবে, সে সম্পর্কেও জানা যায়নি। এদিকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার নিজের নামে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ছয় হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।