সিলেটSaturday , 27 August 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

জেলা পরিষদ নির্বাচন: সরগরম বিয়ানীবাজার

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচন আসন্ন। আগামী ১৭ অক্টোবর স্থানীয় এই সরকারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে।
তফসিল অনুযায়ী-মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।

২০০০ সালে তৎকালীন সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এনিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এর মধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জেলা পরিষদের মেয়াদ আরও আগেই শেষ হলেও আইন সংশোধনসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে ভোট নিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় এই সরকারের আইনটি সংশোধনের পর ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসক বসানো কথা বলা হয়।

জেলা পরিষদ নির্বাচন আইনানুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন। কিন্তু সংশোধিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।
আইনে আগে জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়ার পর্যন্ত আগের পরিষদকেই দায়িত্ব পালন করার কথা বলা ছিল। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেটির পরিবর্তে প্রশাসক বসানোর বিধান আনা হয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক বসানোর আদেশ জারি করে। এর বলেই এখনো প্রশাসক দায়িত্বে।

এদিকে সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিয়ানীবাজার উপজেলা নিয়ে ১২নং ওয়ার্ড গঠিত। এই ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতার জন্য সাবেক সদস্য মো. নজরুল হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ কাদির, ব্যবসায়ী সাব্বির আহমদ বকসি, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি খসরুল হক খসরু, চারখাই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শামীম আহমদ, ময়েজ আহমদ, দুবাগের শামীম আহমদ প্রমুখের নাম শোনা যাচ্ছে। তফশিল ঘোষণার পরই সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগে সরগরম হয়ে ওঠেছে বিয়ানীবাজার। এখানকার মোট ১৪৬জন ভোটার জেলা পরিষদের সদস্য পদে ভোট প্রদান করবেন।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার