স্পোর্টস ডেস্ক :
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় ভারত। হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে বাবর আজমের দলকে ২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে হারাল ম্যান ইন ব্লুরা।
এ ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি অনেক। প্রথমত পাকিস্তানকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল রোহিত শর্মার দল। গত বছর এই মাঠেই টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ উইকেটে হেরেছিল তারা।
এই ম্যাচ ফর্মে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। দুর্দান্ত খেলেছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। তবে ম্যাচ শেষ করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে নায়ক হয়েছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া।
১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। ম্যাচ জিততে ৩ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বল করছিলেন রোহিত ও কোহলির উইকেটশিকারি মোহাম্মদ নওয়াজ।
কিন্তু সে কথা মাথায় রাখলেন না হার্দিক। ঠাণ্ডা মাথায় আর আত্মবিশ্বাসটাকে জমিয়ে ২০তম ওভারের চতুর্থ বলটিই হার্দিক পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন এ ভারতীয় অলরাউন্ডার।
তার আগে বল হাতে তুলে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইফতিকার আহমেদ, খুশদিল শাহের উইকেট। তাই ম্যাচেসেরার পুরস্কার গেছে হার্দিকের হাতেই।
দলকে এমন একটা জয় এনে দেওয়ার পর ম্যাচ শেষে হার্দিক শেষ ওভারে তার পরিকল্পনার কথা ফাঁস করেছেন। তিনি জানতেন, শেষ ওভারটা নওয়াজকে দিয়ে করাবেন বাবর।
তিনি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি বুঝে অস্ত্র ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। বল করার সময় সঠিক লেংথে বল করা জরুরি। ব্যাট করার সময় সুযোগ কাজে লাগাতে হয়। ঠিক মতো প্রয়োগ করতে হয়। ওভার ধরে ধরে পরিকল্পনা করেছি। মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলার চেষ্টা করেছি। জানতাম যে, শেষ ওভারের জন্য পাকিস্তান নাওয়াজকে রেখে দিয়েছে। ৭ রান দরকার ছিল শেষ ওভারে। ১৫ রান দরকার থাকলেও আমি সুযোগ খুঁজে নিতাম। আমার মনে হয়, ওদের বোলারদের ওপর আমাদের থেকে বেশিই চাপ ছিল। শেষ ওভারে একটা ৬ দরকার ছিল। তাই বাড়তি কিছু করার চেষ্টাই করিনি।’
মূলত: আইপিএল থেকেই দারুণ খেলছেন হার্দিক। তার অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স আর ক্যাপ্টেন্সিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গুজরাত টাইটান্স। তবে থেকেই নতুন মেজাজে রয়েছেন হার্দিক। সেই মেজাজেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয় এনে দিলেন ভারতকে। হার্দিকের হাত ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফেলল রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া।