সিলেটMonday , 29 August 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

সিলেটসহ সারা দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধে ফের অভিযান

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার :
সতর্ক করার পর তিন মাসেও যেসব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ম মেনে নিবন্ধন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধে ফের ক্রাশ অভিযানে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তিনদিনের অভিযানের প্রথম দিন সোমবার ঢাকা চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এসময় লাইসেন্স না থাকায় চট্টগ্রামের দেশ মেডিকেল ক্লিনিক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীর খিলগাঁও, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, চকবাজার, লালবাগ, কচুক্ষেত ও বনানীতে অভিযান চালানো হবে।

এর আগে রবিবার এই তথ্য জানিয়ে সোমবার থেকে অভিযান শুরুর খবর জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির। অভিযানের বিষয়ে গত ২৪ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সারাদেশের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সভা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘অননুমোদিত হাসপাতাল, ব্লাডব্যাংক বন্ধে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশনে যাচ্ছি আমরা। ৭২ ঘণ্টার একটি আল্টিমেটাম দিয়ে অভিযান চালানো হবে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে আমরা তিন মাস সময় দিয়েছি। এই সুযোগ যারা নেয়নি এবং এর মধ্যে যারা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি বা যারা আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি, তারা হাসপাতাল, ক্লিনিক খোলা রাখতে পারবে না।’

‘যারা নিবন্ধন পায়নি তাদের কার্যক্রম এখনো ত্রুটিপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে আলাদা করতে পারব। এরপরের অভিযান হবে যারা নিবন্ধিত হয়েছে তাদের কার্যক্রমের মান কেমন তা নিয়ে’-বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির জানান, অভিযানের পর নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে এ, বি, সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। এরপর প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে দেয়া হবে। সেখানে কোন হাসপাতাল কোন মানের তা উল্লেখ করা থাকবে।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, সময় দেওয়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না। কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে।’

এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্সের অবস্থা আরও তরান্বিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম চালানো জরুরি বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার