আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বাবা-মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন তরুণী। হঠাৎ হবু বরের সঙ্গে দেখা। সঙ্গে সঙ্গে তরুণকে জাপটে ধরেন তিনি। দাবি করেন, তাকে তখনই বিয়ে করতে হবে। একপর্যায়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন হবু বর। কিন্তু তরুণী নাছোড়বান্দা। তিনিও ছুটতে থাকেন পেছন পেছন। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন ভারতের বাসিন্দারা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নাওয়াদা শহরের ভগত সিং চক এলাকায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এর ভিডিও।
জানা যায়, কয়েক মাস আগে ওই তরুণের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল মেয়েটির। বিয়ের জন্য পণ হিসেবে নগদ ৫০ হাজার রুপি ও একটি মোটরসাইকেল দাবি করেছিল পাত্রপক্ষ। শর্ত মেনে সেগুলো হবু বরের হাতে তুলেও দিয়েছিল মেয়েটির পরিবার।
কিন্তু, পণের জিনিস হাতে পাওয়ার পর মন ঘুরে যায় পাত্রের। বিভিন্নভাবে এড়িয়ে যেতে থাকেন বিয়ের কথা। এরপর তিন মাস কেটে গেলেও বিয়ে হয়নি। তাই তরুণী বাধ্য হয়েই হবু বরকে রাস্তায় দেখে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ভগত সিং চকে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন সেই তরুণী। সেখানে হঠাৎ তার হবু বরকে দেখতে পান। এরপরেই ছেলেটিকে তাড়া করতে থাকেন তিনি। এসময় তাদের মধ্যে রীতিমতো ‘চোর-পুলিশ’ খেলা শুরু হয়।
মাঝরাস্তায় তরুণী চিৎকার করে দাবি করতে থাকেন, তাকে তখনই বিয়ে করতে হবে। এমন অদ্ভুত কাণ্ড দেখে আশপাশের লোক জড়ো হতে থাকে। এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তরুণ। কিন্তু মেয়েটি তাকে ছাড়তে নারাজ। তিনি পেছন পেছন ছুটে হবু বরকে আবারও ধরে বসেন।
ভিডিওতে ছেলেটিকে বেশ কয়েকবার মেয়েটির হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে তাদের দুজনকেই ঘিরে ধরে সাধারণ জনতা। এরপর স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয় এবং উভয় পক্ষকে থানায় নিয়ে যায়।
টাইমস নাউয়ের খবর অনুসারে, থানায় নিয়ে বোঝানোর পর দুই পক্ষই বিয়েতে সম্মত হয়। পরে থানার পাশের মন্দিরে সাতপাঁকে বাঁধা পড়েন তরুণ-তরুণী। স্বার্থক হয় মেয়েটির চেষ্টা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার