যশোর প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ের বারান্দায় দাঁড়িয়ে বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলার অপরাধে এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোরের শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্র শার্শা উপজেলার চটকাপোতা গ্রামের আনাছার আলীর ছেলে এবং শার্শা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। এ ঘটনার পর আহত ছাত্রকে তার বাবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র জানায়, রোববার সকালে সে ক্লাস শেষ করে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হলে তার এক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় সে তার বান্ধবীর সঙ্গে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দেখে ফেলেন। এরপর প্রধান শিক্ষক তাকে একটি শ্রেণিকক্ষে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
স্কুলছাত্রের বাবা বলেন, রোববার সকালে আমার ছেলে বাড়ি থেকে স্কুলে যায়। পরে আমি দুপুরে বাড়িতে ফিরে জানতে পারি, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার রুমে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি আমার ছেলেকে নিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চাই। এর আগে অনেক ছাত্রকে এভাবে মারধরের অভিযোগ রয়েছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের কিছু ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলছাত্রের বাবা। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার