ক্রীড়া প্রতিবেদক:
শিরোনামের উত্তর পেতে খুব একটা সময় বাকি নেই। বৃষ্টিস্নাত এই দিনের দুপুরেই হয়তো হাসবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, হয়তোবা চুপসে যাবেন রাগে-দুঃখে! দুটোর একটা হবেই আজ। বুধবার দুপুর আড়াইটায় জানা যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল।
সংবাদ সম্মেলনে দুপুরে জাতীয় দলের নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন ঘোষণা করবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল। তাদের দল ঘোষণার পরই জাতীয় দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম সংবাদ সম্মেলন করবেন।
তার আগে আলোচনা একটাই – রিয়াদ কি থাকছেন ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দলে? মাস দুয়েক আগেও যদি কেউ এমন প্রশ্ন তুলতো, তাহলে নিশ্চয়ই অবাকই হতেন আপনি। কারণ তিনি যে তখন দলের অধিনায়ক! সদ্য সাবেক হয়েই কি-না জায়গাটাও টলমলে হয়ে গেল তার। এখন তো টিম ম্যানেজম্যান্ট পড়েছে অদ্ভুদ এক সঙ্কটে। না পারছে ধরতে, না পারছে ছাড়তে!
অবশ্য মাঠে ব্যাট হাতে তার বাজে পারফরম্যান্সই সর্বনাশ করে দিয়েছে। উঁচু গলায় তার হয়ে কথা বলার মানুষটিও নেই। খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় দেওয়ার পথ খুঁজছেন। তবে এটুকু অন্তত নিশ্চিত হয়েছে, দলে রাখা কিংবা না রাখা পুরো ব্যাপারটা নিয়েই নির্বাচকরা আজ কথা বলবেন রিয়াদের সঙ্গে। হয়তো বলেও ফেলেছেন।
কিন্তু সাধারণ দর্শক এমন কি গণমাধ্যমেরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রশ্নের উত্তরের জন্য। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তো আগের দিন বলেই দিয়েছেন ‘যদি ওকে অবসর নিতে হয় এবং আমরা যদি ওকে জায়গা না দিতে পারি তাহলে ওকে এই সুযোগ দেওয়া উচিত, মিনিমাম রেসপেক্ট তো দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের। ইভেন মুশফিকও। মুশফিক অবসর নিয়েছে, আমাদের তো খারাপ লাগে। শেষ দিন পর্যন্ত বলে যাচ্ছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। একেকটা ফরম্যাটে একেক জনের জায়গা হয় না টিম কম্বিনেশনের কারণে সেটা ভিন্ন বিষয়।’
সেই টিম কম্বিনেশনের কথা ভেবেই অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে রিয়াদের জায়গা পাচ্ছেন না নির্বাচকরা। এমনটাই বিসিবির বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। এমনটাও বাতাসে বাসছে রিয়াদকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ভাল মন্দ কিছুই বলেননি। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারটা বিসিবির ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার আগে নাজমুল হাসান পাপন, জালাল ইউনুস, এনায়েত হোসেন সিরাজ, খালেদ মাহমুদ সুজন; এই চারজন রিয়াদের ইস্যুতে লম্বা মিটিং করেছেন, যেখানে রিয়াদের সঙ্গে কথা বলেই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে বোর্ডের নীতি নির্ধারকরা। এ অবস্থায় সাব্বির রহমান আর ইয়াসির আলি রাব্বিকে দলে রাখতে গেলে বাদ দিতে হয় রিয়াদকে!
সমীকরণ মেলাতে গিয়ে নিশ্চয়ই হিমশিম খেতে হচ্ছে নির্বাচকদের। ১১২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৩.৫ গড়ে ২১২২ রান করা রিয়াদকে নিয়ে যাই করা হোক সমালোচনা হবেই। দলে রাখলেও একপক্ষ মেতে উঠবে সমালোচনায়। আবার বাদ দিলেও রক্ষা নেই! অপ্রিয় সেই কাজটাই কিছুক্ষণ পর করতে যাচ্ছেন নির্বাচকরা।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার