স্পোর্টস ডেস্ক:
আর্লিং ব্রাউট হালান্ড কী সেটা ভালো করেই জানত ডর্টমুন্ড। সে কারণেই হয়তো ‘ঘরে ফেরার ম্যাচে’ ম্যানচেস্টার সিটির এই গোলমেশিনকে দলটা আটকে রাখতে পেরেছিল ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। তবে সে পর্যন্তই।
এরপর হালান্ড যা করলেন, তা এককথায় অবিশ্বাস্য! তা বললেও হয়তো কম হয়ে যায়। সেই এক গোলেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সর্বনাশ হয়ে গেছে, বিফলে চলে গেছে দলটির আগের ৮৪ মিনিটের প্রতিরোধ। হালান্ডের ‘সাবেক’ দলের বিপক্ষে সিটি জিতে গেছে ২-১ গোলে।
রেড বুল সালজবুর্গ থেকে ২০২০ সালের শুরুতে জার্মানিতে পাড়ি জমানোর পর দারুণ একটা সময়ই কাটিয়েছেন হালান্ড। বরুসিয়ার হয়ে ৮৯ ম্যাচে করেছেন ৮৬ গোল, চোখে পড়ে গেছেন ইউরোপীয় জায়ান্টদের।
এত কাছ থেকে দেখার ফলে তাকে ভালো করেই চেনা ছিল ডর্টমুন্ডের। তাকে প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে না দেওয়া, দ্বিতীয়ার্ধের একটা বড় সময় পর্যন্ত আটকে রাখার পেছনে এটাও অবদান রাখতে পারে।
সিটির মাঠে ডর্টমুন্ড নিজেরাও অবশ্য প্রথমার্ধে গোল পায়নি। পেল দ্বিতীয়ার্ধে। গোল করলেন তিনি, যার নাম শেষ কয়েক দলবদল ধরেই ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমে ঘোরে ফেরে, সেই জুড বেলিংহাম। তার দারুণ এক হেডারে ৫৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড।
এরপর সময় যত গড়াচ্ছিল ততই সিটির উৎকণ্ঠা বাড়ছিল। সিটিকে সেই উৎকণ্ঠা থেকে কিছুটা মুক্তি দেন জন স্টোনস। বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক গোলে ম্যাচের ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরান দলকে।
এর চার মিনিট পর আড়মোড়া ভেঙে ওঠেন হালান্ড। জোয়াও ক্যানসেলোর দারুণ এক ক্রস বক্সের ভেতর হালান্ডকে খুঁজে নেয়। তিনি অবশ্য একা ছিলেন না, তাকে পাহাড়ায় রেখেছিলেন তিন ডর্টমুন্ড ডিফেন্ডার। তাদের মাঝে থেকেই চকিতে পা তুলে দেন মাথার কাছাকাছি উচ্চতায়, পা ছুঁইয়ে বলটা পাঠান ডর্টমুন্ডের জালে। সেই এক গোলেই সিটি এগিয়ে গেছে ম্যাচে। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেষে। এই জয়ের ফলে সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুই ম্যাচ শেষে ছয় পয়েন্ট নিয়ে আছে ‘জি’ গ্রুপের শেষে। দুইয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের অর্জন তিন পয়েন্ট।