স্পোর্টস ডেস্ক:
পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটাকে ইসরায়েলের দল মাকাবি হাইফা দেখছিল তাদের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় ম্যাচ হিসেবে। লিওনেল মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপেদের মতো সময়ের সেরা খেলোয়াড়রা ছিলেন বিপক্ষ দলে! সেই ম্যাচেই কি-না পিএসজিকে থমকে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে মেসি-নেইমার-এমবাপেদের গোলে সে বাঁধা ঠিকই উতরে গেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির ৩-১ গোলের এই জয়ের দিনে মেসি গড়ে ফেলেছেন আরও দুটো নতুন কীর্তিও।
নিজেদের মাঠ স্যামি ওফের স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই পরিবেশটা ছিল উৎসবমুখর। জারন চেরির গোলে যখন ২৪ মিনিটেই এগিয়ে যায় মাকাবি, সে উৎসবটা পেয়ে গিয়েছিল বাড়তি মাত্রা। যে দলটা নিজেদের ইতিহাসেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছে দু’বার তারাই পিএসজির তারকায় ভরা দলের বিপক্ষে এগিয়ে গেছে প্রথমার্ধে! তাদের আনন্দ তো বাঁধন-হারা হওয়ারই কথা!
তবে দলটির সে আনন্দ টেকেনি বেশিক্ষণ। ৩৭ মিনিটে মেসির গোলে সমতা ফেরায় পিএসজি। বাম পাশ থেকে কিলিয়ান এমবাপের পাস এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে গিয়ে পড়ে মেসির কাছে, সেটা আয়ত্বে নিয়ে ফাঁকা পোস্টে গোলটা করতে সমস্যা হয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকার। যার ফলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা ১৮টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মৌসুমে গোলের কীর্তি গড়েন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাকাবি ছিল তার গোল করা ৩৯তম প্রতিপক্ষ, যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি দলের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড। রোনালদোর গোল আছে ৩৮ দলের বিপক্ষে।
মেসির এই কীর্তির পরেও অবশ্য প্রথমার্ধে পিএসজি নিজেদের ছায়া হয়েই ছিল। তাদের দুটো শটের বিপরীতে মাকাবির প্রতিপক্ষ গোলমুখে শট ছিল ৪টি। বিরতির আগে একটা গোল অফসাইডে বাতিল না হলে পিএসজিকে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হতো।
বিরতির পর অবশ্য পিএসজি স্বরূপে ফেরে। ৬৯ মিনিটে মেসির পাস থেকে কিলিয়ান এমবাপের করা গোলেই পিএসজি এগিয়ে যায় ম্যাচে। বাকি ছিলেন নেইমার। তিনিও গোলের খাতায় নাম লেখান ম্যাচের শেষ দিকে। ৮৮ মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির পাস থেকে নেইমার গোল পান। তাতেই ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার