সিলেটWednesday , 21 September 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপ থেকে দিনে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের আশা

admin
September 21, 2022 5:14 pm
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১নং কূপের পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। কূপ থেকে প্রতিদিন পাঁচ-সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করছে কোম্পানিটি। এরইমধ্যে দুই নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন সাত থেকে সাড়ে সাত মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।

বিয়ানীবাজারে গ্যাস ক্ষেত্রের পরিত্যক্ত এক নম্বর কূপ খনন কাজের উদ্বোধন করেন বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাস খানেকের মধ্যেই এ কূপের পুনঃখনননের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। এরপর থেকে উৎপাদন শুরু করা যাবে। আমদের ধারণা কূপটি থেকে প্রতিদিন পাঁচ-সাত মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে। তবে খননকাজ শেষ হওয়ার আগে নিশ্চিত করে তা বলা যাবে না।

তিনি জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অধীন গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮, বিয়ানীবাজার-১ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে ১টি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে।

এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএল’র গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিক সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডস রয়েছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাকিগুলোর ১২টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড সূত্রে জানা যায়, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি কূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়।

ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে শনিবার থেকে আবার খনন কাজ শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাপেক্স ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালায়।

তাতে দেখা যায়, কূপে এখনো গ্যাস মজুত রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে খনন কাজ শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাসে সিলেট দেশের অন্যতম উৎস। ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।

এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও বেশ কিছু গ্যাসক্ষেত্র। দেশে বর্তমানে ২৮টি আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুতের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন বর্গফুট (টিসিএফ)। আরও ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুত।