সিলেটWednesday , 12 October 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

সিলেটে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে নারী ও শিশু নির্যাতন। প্রায়ই ঘটছে নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা। এসব প্রতিরোধে আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও পারিবারিক-সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলার জোর দাবি জানিয়েছে সিলেটের সচেতন মহল।

সমাজবিশ্লেষকরা বলছেন- মাদক-সংশ্লিষ্টতা, বেকারত্ব ও যৌতুকের সিলেটে বাড়ছে নারী-শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। আর ধর্মবিশ্লেষকরা বলছেন, এসবের কারণ- মানুষের নৈতিক স্খলন।

সিলেটের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। করোনাকালীন ১৯ মাসে সিলেটে ১ হাজার ৩৩৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৪৯৮টি। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩০৯টি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট মহানগরীর ৬টি ও জেলার ১১টি থানায় নারী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৫টি, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে ১৫টি। এ ছাড়া নারী নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে ২৮টি ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে ১৬টি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নারী ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে ২১টি, শিশু ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে ১১টি। এ ছাড়া নারী নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়েছে ২৫টি ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১২টি।

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় ৪৪টি নারী ও শিশু শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৩টি। নির্যাতনের শিকার ৯৭ জনের মধ্যে ৩৭ জন মামলা করলেও বাকি ৬০ জন মামলা করতে রাজি হননি।

অপরদিকে, সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ৩ হাজার ৬৮১টি এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনায় ৮৭০টি মামলা পেন্ডিং রয়েছে।

সুজন সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বা আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় নারী ও শিশুদের নির্যাতনের ঘটনা সিলেটে বাড়ছে।

এ বিষয়ে জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস, বিশিষ্ট গবেষক ও কলামিস্ট মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ বলেন- এসবের প্রধান কারণ হচ্ছে মানুষের নৈতিক স্খলন। আর নৈতিক অধপতনের কারণ হচ্ছে- ধর্মীয় শিক্ষা ও চর্চার অভাব। প্রতিটি পরিবারের ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

তিনি বলেন- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন কিংবা ধর্ষণ রোধে কতোই তো মানবরচিত আইন হয়, কিন্তু স্রষ্টার আইন-ই সবার উপরে। ইসলামি নীতি অনুযায়ী একজন ধর্ষকের শাস্তি হলে অন্যজন এমন ঘৃণিত কাজ করতে নিশ্চয় ভয় পেতো। তাই নারী ও শিশু নির্যাতন কিংবা ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে ধর্মীয় আইন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।