নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আশরাফ আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আশরাফ আলী জেলা শহরের আনন্দ বাবুরপুল মারকাস মসজিদ পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে আব্দুল আলিম দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং ছোট ছেলে হজরত আলী সদর উপজেলার টেংগনমারী বাড়ি বাজারে হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিছু দিনের মধ্যে আশরাফ আলীর বড় ছেলে আব্দুল আলিমের বিয়ে করতে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসার কথা ছিল। আজ সন্ধ্যায় প্রতিবেশী হারুন অর রশীদের মোটরসাইকেলে করে বড় ছেলে আব্দুল আলিম জন্য পাত্রী দেখতে গিয়েছিলেন আশরাফ আলী। পাত্রী দেখে ফেরার পথে খোকশাবাড়ি বাজারে মোটরসাইকেল থামিয়ে পরিচিত একজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন।
এ সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আশরাফ আলীর মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন আশরাফ আলীর স্ত্রী রাশেদা বেগম। শোকে কাতর স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশী সুজন মৃধা বলেন, আশরাফ ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। এই এলাকার কোনো ব্যক্তি নেই যে তার সঙ্গে উনার ভালো সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না উনি মারা গেছেন।
স্থানীয় আব্দুল খালেক বলেন, আশরাফ ভাইয়ের সঙ্গে ফজর ও জোহরের নামাজ পড়েছি। একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। উনার মৃত্যুতে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নীলফামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন একজন। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি আমরা। পরিবারের লোকজন জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।