স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে স্কুলের দখলে থাকা জমি উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের চারখাইয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, উপজেলার চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের দখলে থাকা ৫০ শতক ভূমি গত কয়েকমাস পূর্বে বন্দোবস্থ প্রদান করে জেলা পরিষদ। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী এবং আওয়ামীলীগের লোকজন ওই ভূমি বন্দোবস্থ নেন বলে জানা গেছে। জেলা পরিষদ কর্তৃক বন্দোবস্থ নেয়ার পর তারা ভূমির দখল বুঝে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বাঁধ সাধেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা বন্দোবস্থ বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে বন্দোবস্থ দেয়া জমিটুকু বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং বন্দোবস্থ গ্রহীতারা মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এর জের ধরে বুধবার দুপুরে জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা ওই জমি মাপঝোঁক করতে আসলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা তাৎক্ষণিক সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়ক অবরোধ করে বিষয়টির প্রতিবাদ জানায় এবং আপত্তিকর শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাপঝোঁক না করেই ঘটনাস্থল ছেড়ে যান জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ চৌধুরী জানান, বিদ্যালয়ের জমি হঠাৎ করে বন্দোবস্থ নেয়ার দরকার পড়লো কেন? আর বিদ্যালয়ের যদি এই জমিটুকু প্রয়োজন তাহলে তারা আগে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়নি কেন? এখন বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃক পত্র পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে যাওয়ায় জমিটুকু মাপঝোঁক করা সম্ভব হয়নি।
চারখাই উচ্চ বিদ্যালয়ের লোভনীয় ওই জমিতে অনেকের চোখ পড়েছে।
ওই জমির বাজারমূল্য কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা হতে পারে। জমি বন্দোবস্থ প্রদানে কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা, তাও দেখার দাবী জানান এলাকাবাসী। তাদের দাবী, বিদ্যালয়ের জমি বিদ্যালয়ের দখলে থাকা উচিত। একপক্ষের দখলীয় জমি অন্যপক্ষ বন্দোবস্থ পায় কেমন করে, তাও খতিয়ে দেখার দাবী চারখাইবাসীর।