স্টাফ রিপোর্টার:
কোম্পানীগঞ্জে তিন সন্তানের জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অজ্ঞান অবস্থান ধর্ষণের শিকার নারীকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার লামাডিস্কিবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী স্থানীয় তেলিখাল বাজার থেকে নিজের বাড়ি ফেদারগাঁও গ্রামে যাচ্ছিলেন। লামাডিস্কিবাড়ি গ্রাম হয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পিছু নেয় ৩-৪ জনের বখাটে দল। নির্জন এলাকা অতিক্রম করার সময় বখাটেরা তাকে ঝাপটে ধরে। মুখে গামছা ঢুকিয়ে লামাডিস্কিবাড়ির আপ্তাব উদ্দিন মন্তাইর পুত্র ফখর উদ্দিন ও মৃত আব্দুস সোবহানের পুত্র তারেকসহ তিন-চার জনে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। তাদের ধর্ষণে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে স্বজনরা মুখে গামছাসহ অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তি না করে চিকিৎসকরা তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওসমানী হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে প্রেরণ করেন ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. কামরুজ্জামান রাসেল বলেন, ওই নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওসমানীর ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। ওই নারীর বরাত দিয়ে তাঁর এক স্বজন জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার