স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট-৬ বিয়ানীবাজার-গোলাগগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। গত দুই মাস থেকে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার সর্বসাধারণের সাথে গণসাক্ষাতে মিলিত হচ্ছেন। শুনছেন সাধারণ মানুষের কথা, তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ারও চেষ্টা করছেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মাসে পৃথক এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে এমপি নাহিদের নিজ উদ্যোগে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ এলাকা থেকে ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের টানা দুই মেয়াদে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নাহিদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই আসন থেকে ৪ বার এমপি হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। মন্ত্রী থাকাকালে তাঁর উদ্যোগে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। তবে চলতি মেয়াদে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় ব্যস্থতা কিছুটা কমে যাওয়ায় নাহিদ নিজ এলাকায় গণসাক্ষাৎ কর্মসূচি শুরু করেন। গত করোনার পূর্ব থেকে এই কর্মসূচি শুরু হলেও মাঝখানে স্বাস্থ্যবিধির কারণে তা নিয়মিত পালন করা সম্ভব হয়নি। গত দুই মাস থেকে তাঁর এ কর্মসূচি বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ ফের শুরু হয়। এসব কর্মসূচিতে ভূক্তভোগী জনতার ঢল নামে।
সূত্র জানায়, গণসাক্ষাতে এমপির কাছে সাধারণের দাবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী রাস্থা সংস্কার ও নির্মাণের। প্রতি সাক্ষাতে কমপক্ষে ৩৫-৪০টি আবেদন আসে রাস্থা সংশ্লিষ্ট। এমপি নাহিদও তা অবগত হয়ে দ্রুত উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করেন। গত গণসাক্ষাতে রাস্থা সংস্কারের দাবী নিয়ে আসা তিলপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফকু মিয়া জানান, সদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চান্দলা সংযোগ রাস্থা পর্যন্ত সংস্কারের দাবী নিয়ে আবেদন করেছি। এমপি সাহেব দ্রুত তা সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছেন। চারখাই এলাকা থেকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আরেক নেতা বজলুর রহমান রাস্থা সংস্কারের দাবী নিয়ে গণসাক্ষাতে এসেছেন। তিনি বলেন, এ ধরণের কর্মসূচি এলাকার উন্নয়নের জন্য মঙ্গলময়।
গণসাক্ষাৎ নিয়ে স্থানীয়দের পরামর্শ
নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির গণসাক্ষাৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তারা জানান, গণসাক্ষাতকালে এমপি মহোদয় একা সাধারণ মানুষের কথাগুলো শুনলে ভালো হয়। এ সময় প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামীলীগ নেতারা অন্যত্র অবস্থান করবেন। তাতে প্রশাসনিক অভিযোগ কিংবা দলীয় অভিযোগও এমপি সাহেবের কাছে দেয়া যাবে। তারা আরো জানান, সাধারণ মানুষের দাবী-দাওয়ার অগগ্রতি নিয়েও তদারকি ও নোট রাখলে এটা ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার