মেহেরপুর প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ হোসেন। চার বছরে বিয়ে করেন ৫টি। বিদ্যুতের শারীরিক অক্ষমতার কারণে একে একে ৫ স্ত্রীই তাকে তালাক দেন। মাস খানেক আগে সাবিনা খাতুন নামে এক তরুণীকে ষষ্ঠ বিয়ে করেন বিদ্যুৎ। একই কারণে সাবিনার সঙ্গেও মনোমালিন্য শুরু হয় তার। ক্ষোভে সাবিনাকে হত্যার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান বিদ্যুৎ।
ঘটনাটি ঘটে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জুনগর গ্রামে। আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে সাবিনা খাতুন (৩২) নামের এক নববধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। নিহত সাবিনা একই উপজেলার কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুত ও সাবিনার গত ১ মাস আগেই পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানোমালিন্য চলছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে সাবিনার বাবার পরিবারের লোকজন তাদের মনোমালিন্য বিষয়টি মীমাংসা করে চলে যায়। পরের দিন আজ বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা স্বামীর ঘরে সাবিনার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়।
ধারণা করা হচ্ছে, সাবিনার স্বামী বিদ্যুৎ হোসেন তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে নেয়। এদিকে গাংনী থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ গত ৪ বছরে ৫টি বিয়ে করেন। তবে তার যৌন অক্ষমতার কারণে স্ত্রীরা তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। সর্বশেষ গত ১ মাস পূর্বে সাবিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামীর মধ্যে মনোমালিন্য লেগেই থাকতো।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার