স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত বৃহস্পতিবার চোরাচালানের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। পরে বহনকারী যুবক মো. সরোয়ার হোসেনের (২৭) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শনিবার (৩০ অক্টোবর) প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানিয়েছে ওসমানী বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
দুপুর ১২টায় বিমানবন্দরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসমানী বিমানবন্দর কাস্টমসের উপ-কমিশনার (ডিসি) মমিনুল ইসলাম জানান- বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আবুধাবি থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ সরাসরি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দরে আসেন সরোয়ার হোসেন। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায়।
ফ্লাইট পৌঁছানোর প্রায় এক ঘণ্টা পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তল্লাশি চালিয়ে সরোয়ার হোসেনের কাছ থেকে দুটি সোনার বার ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। বার দুটির ওজন ২৩৪ গ্রাম এবং অলংকারের ওজন ১০০ গ্রাম। এরপর ওই যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কাস্টমসের কর্মকর্তারা। তাঁর বিভিন্ন সামগ্রী এবং পরিহিত কাপড় যন্ত্রের মাধ্যমে স্ক্যান করেও কিছু পাওয়া যাচ্ছিল না।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওই যাত্রী স্বীকার করেন, আবুধাবিতে উড়োজাহাজে ওঠার আগে অন্তর্বাস ও জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁর অন্তর্বাস ও জ্যাকেট গলানো অবস্থায় সোনার উপস্থিতি পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও সেগুলো বিমানবন্দরে স্থাপিত স্ক্যানারে কোনো ধাতব বস্তুর উপস্থিতি পায়নি। পরে সেগুলো সিলেটে জিন্দাবাজার এলাকার কাস্টমস কার্যালয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পোড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত যাত্রীর কাপড়গুলো পুড়িয়ে সেখান থেকে আরও ৫২৯ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এ নিয়ে ওই যাত্রীর কাছ থেকে মোট ৮৬৩ গ্রাম সোনা পাওয়া গেছে।
মমিনুল ইসলাম আরও জানান- এ ঘটনায় সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলা করে সরোয়ার হোসেনকে থানায় হস্তান্তর করার পর বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল জলিল বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার মামলার দায়েরের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।