সিলেটTuesday , 8 November 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

সুনামগঞ্জে ঘরে ঢুকে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ!

Link Copied!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত ২২ অক্টোবর রাতে এই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা করেন। এর আগে কাল সকালে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সৈকত মিয়াকে (২০) নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাওর এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর (১৫) মা–বাবা গত ২২ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে যান। বাড়িতে ওই ছাত্রী ও তাঁর ছোট ভাই ছিল। ওই দিন রাত আটটার দিকে ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা এনামুল মিয়া (২১), সৈকত মিয়া (২০) ও উদয় মিয়া (১৯)। এ সময় ছাত্রীটি রান্নাঘরে ছিল। একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এনামুল। পরে ওই ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে সৈকত ও উদয় ধর্ষণ করেন। এ সময় বাইরে দুর্জয় মিয়া (২০) ও রাহুল মিয়া (২১) পাহারায় ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী পরিবারকে কিছু জানায়নি।

পুলিশ বলছে, ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বড় বোন তাঁর ফেসবুকে অজ্ঞাত আইডি থেকে তাঁর ছোট বোনকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও দেখতে পান। আর এই কাজে সৈকত রয়েছেন বলে তিনি চিনতে পারেন। পরে ঘটনাটি ওই ছাত্রীটির পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ সোমবার সকালে সৈকতকে আটক করে। বিকেলে ওই ছাত্রীর বাবা সৈকতসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৈকতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তের পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।