স্টাফ রিপোর্টার:
‘বাবাকে অনেক মিস করি। তার সঙ্গে খুব কথা বলতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বাবা ফোনও করে না কথাও বলে না। বাবার জন্য খুব খারাপ লাগে।’
আদালত পাড়ায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্রিকেটার আল-আমিনের বড় ছেলে আট বছর বয়সী শিশু মিনহাজ এভাবেই তার খারাপ লাগার কথা ব্যক্ত করে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) মা ইশরাত জাহানের সঙ্গে আদালতে এসেছিল সে। তখন তার সঙ্গে কথা হয়।
এদিকে আজ ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালত বেগম কানিজ তানিয়া রূপার আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের মামলা করেন ইসরাত জাহান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১২তম সহকারী জজ আদালতে পাঠিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আল আমিন পরকীয়ায় আসক্তির কারণে তার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে লেখাপড়া ও ভরণপোষণ প্রদান করেন না। একজন নারীর সঙ্গে উঠানো ছবি ইসরাত জাহানকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানান। তারপর থেকে ২ বছর ধরে কোন প্রকার খোঁজ নেন না। আল আমিন তার পিতামাতার কুপরামর্শে তাকে একতরফা তালাক দেন যা আদতে কার্যকর নয়। তালাকের সংবাদ পেয়ে তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন। আল আমিন ছাড়া তাদের সংসার জীবন অন্তঃসার শূন্য। এ অবস্থায় তিনি দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারের জন্য এ মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী ইশরাত জাহান।
এরপর ৭ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচের দাবিতে আরেকটি মামলা করেছিলেন ইশরাত।