স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে শুরু হয়েছে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমগ্র সিলেট বিভাগে পরিবহণ ধর্মঘট ডেকেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে আসার জন্য ‘শঙ্কা’ তৈরি হয়। এছাড়াও সমাবেশস্থলে অংশগ্রহণকারীদের পথে পথে পুলিশি বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করা হলেও ‘পরিবহন ধর্মঘট ও পুলিশী’ বাধার শঙ্কা উড়িয়ে গাড়ী বহর নিয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে নগরের প্রবেশদ্বারসহ মহানগরীতে ১৯ টি এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে একাধিক পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। এসব চেকপোস্টে কাউকে বাঁধা দিতে দেখা গেছে না।
আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে- বিশৃঙ্খলা এড়াতে নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। নগরের ১৯ টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারী সমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের অবাধে শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়নি। বিএনপির নেতাকর্মীরা ট্রাক, পিকআপ ও মাইক্রো দিয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। মিছিল সহকারে তারা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সিলেট নগরের প্রবেশমুখ চণ্ডিপুল এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন- ‘সকাল ছয়টা থেকে আমরা এ মোড়ে অবস্থান করছি। ‘অপ্রীতিকর’ ঘটনা এড়াতেই দায়িত্ব পালন করছি।
গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ জানিয়েছেন, ‘যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহানগরের প্রবেশদ্বারসহ ১৯টি স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সমাবেশস্থলে আজ শনিবার সাদা পোশাকে পুলিশের একাধিক টিম দায়িত্ব পালন করবে। পাশাপাশি ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪টি মোবাইল টিম মাঠে কাজ করবে।’
এদিকে- খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, তারেক রহমানের ওপর থেকে মামলা প্রত্যাহার, সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা আগে শুরু হয়েছে। সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।