স্টাফ রিপোর্টার:
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) শেষ দিনের মতো অফিস করছেন। আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) অফিস খোলা থাকলেও তিনি ওই দিনের জন্য ছুটি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসরে যাবেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি সুপ্রিম কোর্টে আসেন। তবে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারকাজে অংশগ্রহণ করেননি তিনি। যদিও আপিল বিভাগের মূল কার্যতালিকায় প্রধান বিচারপতির নামের পরই বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নাম রয়েছে।
বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। ১৯ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দিবস পালন করা হবে। সে হিসেবে আজ তার শেষ কর্মদিবস।
গত ৮ মে বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে ইংল্যান্ড যান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ এ বিচারপতি।
১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি চেয়ে গত ২৮ মার্চ প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। আবেদনে লন্ডনে থাকা বৃদ্ধ মায়ের কাছে ছুটিকালীন সময় কাটানোর কথা উল্লেখ করেন।
এ ছুটির আবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। অর্জিত ছুটি থেকেই তিনি এ ছুটি কাটাতে চান বলে উল্লেখ করেন আবেদনে। আবেদনের পর তার ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে। এর পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর থেকে ছুটিতে যান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী। তার সে ছুটি ছিল ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার আগেই সে সময় নতুন ছুটির দরখাস্ত করেন তিনি। এরপর আর তিনি আপিল বিভাগে বসেননি।
গত এক দশকে আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগে সুপারসিডের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি ছুটিতে যান। তারা হলেন- বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান।
একইভাবে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ দেওয়া হলে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া পদত্যাগ করেন।