স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের খন্ডকালীন শিক্ষক আরবাব হোসেন খান। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ ও সাবেক শিক্ষমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারনে বিগত দিনে এই প্রতিষ্টান থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি আর এরকম করবেননা মর্মে নি:শর্ত ক্ষমা ও লিখিত মুচলেকা দিয়ে পাঠদানের সুযোগ পান। আর এতেই কপাল খুলে আরবাবের।
আরবাব হোসেন খান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তবে তিনিই স্থানীয় আওয়ামীলীগ পরিচালনা করেন এমন দাবী করে বেড়ান সর্বত্র। অথচ তার আপন ভাই আব্দুল হামিদ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি (১৯৯৭-৯৮) ছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তার ওই ভাই জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের অর্থযোগানদাতা।
জানা যায়, আরবাব এবং তার জনপ্রতিনিধি স্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজ শ্যালিকার অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে মামলা হয় সিলেটের আদালতে।
গত কয়েকদিন থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন আরবাব। সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে তিনি পরাজিত হন। এ ঘটনায় তার নিজ এলাকায় বিভক্তি সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে পড়েন তিনি। সরকার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্টানের তহবিল থেকে ভাতা উত্তোলন করার পরও কলেজ প্রশাসনের বিধি লঙ্গন করে অবৈধভাবে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। এ সময় কলেজ থেকে কোন ছুটিও নেননি আরবাব। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ভোটারদের মধ্যে বিলিয়ে দেয়া টাকা জোরপূর্বক ফেরত আনেন তিনি। ওই নির্বাচনে তার ব্যয় করা বিশাল অংকের টাকার উৎস নিয়েও নানা জিজ্ঞাসা আছে জনমনে।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের কয়েকদূরে তিনি বেপরোয়া কোচিং বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। নিজ কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার এই কোচিং ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারী বেলা অনুমান ২টায় একটি রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্টাবার্ষিকীর কেক কেটে (নেতাকর্মীদের একাংশকে সাথে নিয়ে) আনন্দ উল্লাস করেন আরবাব। যা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অপর রাজনৈতিক সংগঠনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে।
তিনি বিগত সময়ে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের আলোচ্যবিষয় ‘গ্যালারী অব এক্সেলেন্স’ নিয়ে বিরোধীতাকারী চক্রের কাছে কলেজ প্রশাসনের নানা গোপন তথ্য প্রকাশ করেন এবং ইন্ধন যোগান।
এসব বিষয়ে আরবাব হোসেন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। তবে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম জানান, তার অনিয়ম নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।