স্টাফ রিপোর্টার:
এক মাস বন্দি থাকার পর অবশেষে কারামুক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলামও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই নেতার মুক্তি মিলতে পারে জেনে আগে থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। মুক্তি পাওয়ার পর ফখরুল ও আব্বাস তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানিয়ে নানা স্লোগান দেন।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যায়-অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমানো যাবে না।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি তাদের পাশে দাঁড়ানো দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এর আগে, বিকেল সাড়ে ৪টায় তাদের জামিননামা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য গতকাল রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য ছিল। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখা হয়।
এর আগে মোট চারবার ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। পরে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।