পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশন করছেন এক তরুণী। এতে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জলিশা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের জেলেপাড়া এলাকায়।
অনশনকারী শিক্ষার্থী ও প্রেমিকের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিপপুর এলাকার ওই তরুণীর সঙ্গে দুমকি উপজেলার জলিশা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত. ইউনুস হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম রাব্বির (২৬) ফেসবুকের মাধ্যমে পৌনে চার বছর আগে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাস দুয়েক আগে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাবার্তা ও দেখাদেখি হয়। এরপর থেকে তরুণী প্রেমিক রাব্বিকে বিয়ের চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু রাব্বি তার পরিবারকে রাজি না পারায় তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। গত সপ্তাহ থেকে ওই তরুণীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
কোনো উপায় না পেয়ে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে রাব্বির বাড়িতে অনশন শুরু করে। বিষয়টি মুহূর্তেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাব্বি ঢাকায় চাকরি করায় তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
অনশনকারী তরুণী জানায়, আমার সরলতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ও আমার সব শেষ করে দিয়েছে। তার বাড়ির লোকজন আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জোরপূর্বক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। হয় বিয়ে না হয় আত্মহত্যা; এছাড়া এখন আমার আর কোনো পথ নেই।
প্রমাণ ছাড়া এরকম দাবি যে কেউ করতে পারে এমন মন্তব্য করে রাব্বির ভাবী বলেন, যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখব।
রাব্বির মা বলেন, আমার বড় ছেলের বউ আর আমার ভাই এই মেয়েকে তার বাড়িতে দেখতে গিয়েছিল। পছন্দ না হওয়ায় বিয়ে হয়নি।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে সেখানে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, যেহেতু দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক, এ বিষয়ে দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যদি কোনো পক্ষ মনে করে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে তাহলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। আমি যতটা জানি, সোমবার দুই পক্ষই নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1K বার