স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় নারী এনজিও কর্মীর গলায় চাকু ঠেকিয়ে মালামাল ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জাবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারদের দুজন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় বানিয়াচং থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতাররা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার কাজী মহল্লার আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল গাফফার (২৫), একই মহল্লার লাল হোসেনের ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও আগুয়া গ্রামের সুবল পালের ছেলে সুভাষ পাল (৩২)।
আব্দুল গাফফার ও উজ্জ্বল মিয়া হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত ৮ জানুয়ারি রাত ৯টায় কামালখানী ব্র্যাক অফিসের ক্রেডিট কর্মকর্তা কামরুন নাহার (৩০) কর্মস্থল থেকে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একদল ছিনতাইকারী তাঁর গলায় চাকু ঠেকিয়ে তিনটি মোবাইল ফোন, চার্জার, আংটি, ব্লুটুথ এয়ারপড ও স্কুটারের চাবি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরে বুধবার দুদফা অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল ও গাফফারকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় তিনটি মোবাইল ফোন, চার্জার, আংটি, ব্লুটুথ এয়ারপড ও স্কুটির চাবি।
এ দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন হবিগঞ্জ শহরের বগলা বাজার এলাকায় ইছহাক ম্যানশনে অবস্থিত দয়ানন্দ শিল্পালয় থেকে সুভাষকে আটক করা হয়। উজ্জ্বল ও গাফফার তার দোকানে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করেছিলেন। আটকের সময় লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, নিয়মিত মামলা দায়েরের পর তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করলে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ছিনতাইকারীরা গ্রামে লুণ্ঠিত মালামাল শহরে এনে বিক্রি করেছিল। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।