স্টাফ রিপোর্টার:
প্রণজিত পাল হত্যা মামলায় এক আসামীকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জন আসামীকে যাবজ্জীবনসহ অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারের ব্যাংক কর্মকর্তা প্রণজিত পাল হত্যা মামলায় সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ রায় প্রদান করেন।
সোমবার (৬ফেব্রুয়ারি) সকালে এ রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মো.শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পি.পি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী হলেন রিপন পাল।যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন-বিমল পাল, উত্তম পাল, চিত্ত পাল এবং আশীষ পাল।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৩০ জুন রাত ৯টায় মৌলভীবাজার শমশের নগর রোডস্থ চট্টগ্রাম সেনেটারী দোকানের সামনে আসামিরা প্রণজিত পালকে জোরপূর্বক রিকশা থেকে নামান এবং রিপন পাল ডেগার দ্বারা প্রণজিত পালের বাম উরুতে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।এসময় প্রণজিতকে ধরে রাখে অন্যান্য আসামীরা।পরে সাক্ষীরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এই বিষয়ে প্রণজিত পালেরন স্ত্রী বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং দীর্ঘ শুনানী শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.শাহাদৎ হোসেন প্রামানিক আসামী রিপন পালকে মৃত্যুদন্ড এবং সহযোগী আসামী বিমল পাল, উত্তম পাল, চিত্ত পাল এবং আশীষ পাল গণকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ প্রত্যেক আসামীকে অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামীগণ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে বিজ্ঞ স্পেশাল পি.পি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।আসামীপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপীল করবেন মর্মে জানান।