স্পোর্টস ডেস্ক :
ইউরো বাছাইয়ে জয়ের ব্যবধানে নতুন রেকর্ড গড়েছে ফ্রান্স। জিব্রাল্টারকে গোলের মালা পরিয়ে তাদের ১৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লে ব্লুরা।
এটি শুধু ইউরো বাছাইয়েই নতুন রেকর্ড নয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সঙ্গে তুলনা করলেও এটি বড় জয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২০০৬ সালে জার্মানি সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। তাছাড়া নিজেদের ফুটবল ইতিহাসেও ফরাসিদের এত বড় জয় আগে ছিল না।
প্রথমার্ধেই গোল উৎসব করেছে ফ্রান্স। ৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলের পর স্কোরলাইন ছিল ৭-০। স্কোরশিটে এই সময় নাম তুলেছেন মার্কাস থ্যুরাম, এমেরি, এমবাপ্পে, ক্লস, কোম্যান ও ফোফানা।
ফরাসিরা আগেই মূল পর্বের পাশাপাশি গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে। তাতে অভিষেকের সুযোগ হয়েছে ১৭ বছর বয়সী জায়ার এমেরির। ১৯১৪ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবেও গোল করার কীর্তি গড়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ধারাল ছিল ফরাসিদের পারফরম্যান্স। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া জিব্রাল্টারের জালে তার পর তারা রীতিমত গোল উৎসব করেছে। জোড়া গোলের দেখা পেয়েছেন রাবিও ও কোম্যান। স্কোর ১০-০ করেন দেম্বেলে। তার পর এমবাপ্পে আরও দু’বার জাল কাঁপিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন। তাতে ফরাসিদের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তিনে উঠেছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন আন্তোয়ান গ্রিজম্যানকে। তালিকায় এমবাপ্পের গোল সংখ্যা এখন ৪৬। শীর্ষে থাকা থিয়েরি অঁরির চেয়ে আর ৫ গোলে পিছিয়ে আছেন। শেষ দিকে জোড়া গোল করে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেছেন জিরুদ।