সিলেটTuesday , 3 December 2024
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

বিয়ানীবাজারে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি

admin
December 3, 2024 10:34 pm
Link Copied!

শহরিয়ার ইমন :

মামলার বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকী দিচ্ছে জামিনে জেল ফেরত আসামীরা। বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের কাজিরবাজার এলাকায় ২ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। হুমকীর শিকার সোলেহ আহমদ স্থানীয় ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র। একই গ্রামের হাসান আলীর পূত্র আব্দুস শুকুর (৪২), মৃত- ছফর উদ্দীন কটইয়ের পুত্র আব্দুল গনি (৩২), মৃত- হাসান আলীর পুত্র (৪৪), হামিদুর হকের পুত্র হানিফ আহমদ (২৩), মৃত- ছফর উদ্দীন কটইয়ের পুত্র তানিম আহমদ (৩৩) ও আবুতাহের (২১), মৃত- সুরমান আলীর পুত্র আবু হোসেন (৩৮), মৃত- হাসন আলীর পুত্র ফরহাদ হোসেন (৩২), বাদল হোসেন জাহিদের পুত্র আকবর হোসেন (২০) , হাসন আলীর পুত্র ফয়সাল আহমেদ (৩৩), মৃত- নামর আলীর পুত্র বিলকুস (৫১) গংরা  এই হুমকী দিয়েছে। এই ঘটনায় সোহেল আহমদ ও তার ভাই রুহেল আহমেদসহ  পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১১টায় ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামের রুহেল আহমদ নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট কারযোগে উপজেলা শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় ইসহাক আলীর বাড়ির সম্মুখে যাওয়ার পর পূর্বথেকে ওৎ পেতে থাকা মৃত-সুরমান আলীর পুত্র আবুল কালাম বাবলু (৪০) মৃত- হাসন আলীর পুত্র খালেদ আহমদ(৩৫), মৃত-নূর উদ্দীনের পুত্র তারবির আহমদ (৩০) ও মাহিন আহমদ (২৭) মৃত- সুরমান আলীর পুত্র হামিদুর হক (৬০),  আব্দুস শুকুর গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাহার গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। তারা মাথা, পা ও হাটুতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং দুটি পা ভেঙ্গে ফেলে, শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। এসময় তার সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও নগট টাকা লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনায় পরদিন ২৭ অক্টোবর ভিকটিমের ভাই সোহেল আহমদ বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ২০। উক্ত মামলায় আবুল কালাম বাবলুসহ সহযোগী ১৬জনকে আসামী করা হয়। তন্মধ্যে মামলার এজাহার ভুক্ত ২জন আসামীকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে পলাতক আসামীরা জামিন চাইতে গেলে ৫ জনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে আদালত। অপর আসামী ১১ জন জামিনে মুক্ত হয়ে আসে।
গত ২ ডিসেম্বর সোমাবার দুপুরে মামলার বাদী সোহেল আহমদের বাড়িতে যায় জামিনে মুক্ত আসামী আব্দুস শুকুর গংসহ তারা সোহেল আহমদকে হুমকী দেয় মামলা তুলে নিতে। অন্যথায় জেলে থাকা আসামীগন জামিনে বেরিয়ে আসার পরই বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়া হয়। বাড়িতে এসে আসামীদের দেয়া এই হুমকীতে সোহেল আহমদ ও তার পরিবারের সদস্যরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তারা আশংকা করছেন, জেলে থাকা আবুল কালাম বাবলুসহ সকল আসামীরা জামিন মুক্ত হয়ে আসলেই তাদের উপর হামলা চালাবে। এতে তাদের প্রাণ হানীও ঘটতে পারে। এই অবস্থায় আইনী সুরক্ষা চেয়ে রুহেল আহমদ থানায় জিডি করেছেন। একই সাথে সোহেল আহমদের পরিবার ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রানালয় সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা), মহা পুলিশ পরিদর্শন (আইজিপি), সিলেট রেঞ্জ (ডিআইজি),বিভাগিয় কমিশনার সিলেট, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।