পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আর্থিক সংকটে নবজাতককে নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না রিমা আক্তার (২০) নামে এক প্রসূতি নারী। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বেসরকারি ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিল বকেয়া থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিচ্ছে না বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী রিমা আক্তার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিয়ারখালী গ্রামের আলকাস আলীর মেয়ে এবং নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সজীব মিয়ার স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিমার স্বামী সজীব মিয়া ঢাকার একটি কারখানায় চাকরি করতেন। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেখাশোনার জন্য নিলফামারীতে চলে যান। কয়েক দিন আগে রিমার অস্ত্রোপচারের জন্য মঠবাড়িয়া আসেন। শনিবার বিকেলে রিমার প্রসবব্যথা শুরু হলে মঠবাড়িয়া শহরের ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রপাচারের পর অর্থাভাবে মা ও সন্তানের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
ভুক্তভোগী রিমার মা তাসলিমা বেগম বলেন, মেয়েটা সেদিন বাড়ি ফিরেছে। আমরা আশা করছিলাম তার শিশুসন্তান স্বাভাবিকভাবেই হবে। কিন্তু এখন সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়েছে। অপারেশন ও যাবতীয় খরচসহ ১৪ হাজার টাকার চুক্তি হয় হাসপাতালের সঙ্গে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার করে প্রথমে দিয়েছিলাম। আজ টাকার অভাবে আমার মেয়ে ও নাতনিকে বাড়ি নিতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, যার কাছ থেকে টাকা ধার করেছিলাম, তিনি আমার নাতনিকে তার এক আত্মীয়র জন্য নিতে চেয়েছিলেন। টাকার অভাবে আমি প্রথমে রাজি হলেও আমার মেয়ের আপত্তি থাকায় আর কথা বলিনি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আবুল বাশার বলেন, শনিবার আমাদের হাসপাতালে রিমাকে তার পরিবার ভর্তি করায়। আমরা তাদের জানিয়েছিলাম, অস্ত্রোপচার করতে ১৪ হাজার টাকা খরচ হবে। প্রথমে ৫ হাজার টাকা জমা দিলে আমরা ৯ হাজার টাকা বকেয়া রেখে অস্ত্রোপাচার করি। বর্তমানে টাকা না দেওয়ায় তাদের ছেড়ে দিতে পারছি না।