স্টাফ রিপোর্টার:
আরেকটি ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারের বৃত্তেই আটকে রইলো বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ডার্ক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে হেরেছেন সালমা খাতুনরা।
সোমবার সকালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে লঙ্কানদের উড়তে দেননি মেঘলা-রুমানারা। লঙ্কানরা ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮.১ ওভারে তুলতে পারে ৮৩ রান।
এরপর বৃষ্টির হানায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচ। বৃষ্টি থামার পর ডার্ক-ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৪১ রান। নিজেদের ঘরের মাঠ, চেনা পরিবেশ। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা গুটিকয়ের দর্শক তাই জয়ের আশায় বিভোর। কিন্তু চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় এই ৭ ওভারের মধ্যেই ৭ উইকেট হারালো বাংলাদেশ! করতে পারলো ৩৭ রান।
৩ রানের হারে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলা এখন কঠিন সমীকরণে দাঁড়িয়ে গেছে।
লঙ্কানদের ইনিংসে ৩১ বলে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন নীলাক্ষ্মী ডা সিলভার ব্যাট থেকে। ওপেনার হার্শিথা সামারাবিক্রমা ১৮ রান করতে খেলেন ৩১ বল।
সানজিদা আক্তার মেঘলা ৪ ওভারে ১৩ রানে একটি, রুমানা আহমেদ ৩ ওভারে ১৪ রানে দুটি, ফাহিমা খাতুন ৩ ওভারে ১৬ রানে একটি এবং জাহানারা আলম ৩.১ ওভারে ১৭ রানে একটি উইকেট নেন। উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান দেন সালমা খাতুন।
লক্ষ্যের পানে ছুটতে গিয়ে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১২ রানের মধ্যেই বিদায় নেন দুই ওপেনার। এরপর ইনিংস সর্বোচ্চ ১৫ রানের জুটি। ২৭ রানে রুমানার বিদায়ে নিগার সুলতানার সঙ্গে সেই জুটি ভাঙতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং।
দলীয় ২৮, ২৯, ৩০, ৩৫ রানে আরও চার উইকেট হারিয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেন রিতু মনিরা।
ইনিংস সর্বোচ্চ ১২ রান আসে অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রায় একাই ধসিয়ে দেন ইনোকা রানাভিরা। ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট! দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরাও এই বাঁহাতি অর্থোডক্স বোলার।
দারুণ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থান আরও সুসংহত করেছে শ্রীলঙ্কা। এক ও দুইয়ে থাকা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে সমান ৮ পয়েন্ট লঙ্কানদেরও। তবে রানরেটে খানিকটা পিছিয়ে আছে তারা। থাইল্যান্ডের মেয়েরা আছে চারে।
বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচে। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হারে সেমিফাইনালের স্বপ্ন এখন কঠিন সমীকরণে। নিগার সুলতানার দলকে সেমিফাইনালে খেলতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে হারাতেই হবে। শুধু হারালেই চলবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। বাংলাদেশ যদি নিজেদের ম্যাচে জয় পায় আর অপর ম্যাচে থাই মেয়েরা যদি হারে, তারপরও সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে না! তখন আসবে নেট রানরেটের হিসাব। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে যাদের নেট রানরেট বেশি হবে, তারাই খেলবে সেমিতে।