সিলেটSaturday , 22 October 2022
  1. আইন-আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. উপ সম্পাদকীয়
  4. খেলা
  5. ছবি কথা বলে
  6. জাতীয়
  7. ধর্ম
  8. প্রবাস
  9. বিচিত্র সংবাদ
  10. বিনোদন
  11. বিয়ানী বাজার সংবাদ
  12. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
  13. ব্রেকিং নিউজ
  14. মতামত
  15. রাজনীতি

আওয়ামী লীগের আশঙ্কায় সিলেট ও হবিগঞ্জ

Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টার:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় অন্তর্কোন্দল নিয়ে চিন্তিত। এইসব কোন্দলের কারণে দলের মধ্যে বিভাদ বাড়ছে এবং বিরোধীপক্ষ লাভবান হচ্ছে বলে মনে করছে দলটির হাইকমান্ড। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে ৪৩টি জেলায় দলটির কোন্দল বেশ জোরালো বলে ওঠে এসেছে। এসব জেলার মধ্যে আছে সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলাও।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে তৎপর হতে চায় আওয়ামী লীগ। দলটি মনে করছে, এবারের নির্বাচন খুবই কঠিন হবে। এজন্য দলের সমস্ত কোন্দল দূর করে ঐক্য গড়তে চায় ক্ষমতাসীনরা।

এ লক্ষ্যে সম্প্রতি সারা দেশে দলীয় সাংগঠনিক অবস্থার একটি চিত্র তুলে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে আওয়ামী লীগ। পুলিশ সদর দপ্তর, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপার এবং কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দলের তথ্য নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে ৪৩টি জেলায় আওয়ামী লীগে অন্তর্কোন্দল, বিভাদ বেশি। এসব জেলার মধ্যে রয়েছে সিলেট, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা, বরগুনা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, লালমনিরহাট, গাজীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, বগুড়া, রাজশাহী, যশোর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রংপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা প্রভৃতি জেলাগুলো।

শুধু কোন্দলের চিত্রই নয়, সএমপি-মন্ত্রীদের বিষয়েও তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ভোটের মাঠে সরকারি দলের অবস্থান কেমন, মন্ত্রী-এমপিদের জনসম্পৃক্ততা, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিজয়ী হয়ে আসতে পারবেন কিনা, ভোটারদের সমর্থন কোন দিকে প্রভৃতি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোন এমপি-মন্ত্রী বা নেতা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত, একেকটি আসনে বিকল্প এমপি প্রার্থী কে হতে পারেন, সেসব তথ্যও নিয়েছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

সূত্র জানায়, প্রতিবেদন পেয়ে সে অনুসারে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। শুরুতেই কোন্দল নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দলের ভেতরে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছে। একটি বঞ্চিতদের, অন্যটি সুবিধাভোগীদের। কোন্দল চরমে উঠেছে কোনো কোনো অঞ্চলে। আমরা চেষ্টা করছি দ্বন্দ্ব-কোন্দল দূর করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচন করতে। দলে কিছু পরগাছাও তৈরি হয়েছে। শুদ্ধি অভিযান দরকার। শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’