গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি:
আসন্ন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন ২৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলার চার ইউনিয়নজুড়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকেই ৪ ইউনিয়নের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদী পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই চার ইউপিতে ইভিএমের মাধ্যমে ৩২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে আজ ২ নভেম্বর বুধবার।
উপজেলার পশ্চিম জাফলং, গোয়াইনঘাট সদর, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নিবার্চন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সহিংসতা ঠেকাতে ইউনিয়ন নির্বাচনের মাঠে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার বাহীনির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইকরামুল হাসান জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রতিটি কেন্দ্রেই নির্বাচনের সরঞ্জামাদী পাঠানো হয়েছে।
প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, মোবাইল টিম, সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন থাকবে। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনে থাকবেন।
তিনি জানান, ভোটাররা যাতে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
তবে, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অপর দিকে পৃথক ভাবে গোয়াইনঘাট উপজেলার ৪ ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ৪ ইউনিয়নেই ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৭ জন প্রার্থী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কায় সুভাস চন্দ্র পাল ছানা, আনারস মার্কা নিয়ে গোলাম রব্বানী সুমন, অটোরিকশা নিয়ে এম,এ,রহিম,খেজুরগাছ মার্কা নিয়ে আবুল খায়ের, ঘোড়া মার্কায় মোঃ কামাল উদ্দিন, চশমা মার্কায় মোঃ মুহিবুর রহমান, মোটরসাইকেল মার্কায় হোসেন আহমদ। গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সুভাস চন্দ্র পাল ছানার নৌকা প্রতীক ,ষতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রব্বানী সুমনের আনারস প্রতীকের মধ্যে মুলপ্রতিদ্বন্ধীতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাবেক চেয়ারম্যান এম,এ,রহিমের অটোরিকশা প্রতীক মুল প্রতিদ্বন্ধীতায় আসা একে বারে উড়িয়ে দেয়া যায়না।
পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে নৌকা মার্কায় আব্দুস সালাম, খেজুর গাছ মার্কায় মাওলানা মুফতি আমির আহমদ, আনারস মার্কায় মামুন পারভেজ, ঘোড়া মার্কায় মো. আব্দুল মালিক, চশমা মার্কায় মো. আব্দুল মুমিন। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে ষতন্ত্র প্রার্থী মুন্সি আব্দুল মুমিনের চশমা ও মামুন পারভেজের আনারস মার্কা মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্ধীতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুস সালামের মুল প্রতিদ্বন্ধীতায় আসা অস্বাভাবিক নয়।
পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে নৌকা মার্কায় মো. রফিকুল ইসলাম, চশমা মার্কায় আব্দুল মুতলিব,হাত পাখা মার্কায় মো. আক্কাস আলী শেখ, ঘোড়া মার্কায় মো. লুৎফুর রহমান লেবু, মোটরসাইকেল মার্কায় মো. শামীম আল মামুন, আনারস মার্কায় মো. হামিদুল হক ভূইয়া বাবুল। পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলামের নৌকা প্রতীক, সতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুল হক ভূইয়া বাবুলের আনারস মার্কার মধ্যে তমুল প্রতিদ্বন্ধীতার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও বর্তমান চেয়ারম্যান ষতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান লেবুর ঘোড়া মার্কা প্রতিদ্বন্ধীতায় আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়ার নয়।
মধ্যে জাফলং ইউনিয়নে নৌকা মার্কায় মো. ফারুক আহমদ, ঘোড়া মার্কায় মোহাম্মদ শাইদুর রহমান, লাঙ্গল মার্কায় মো. আব্দুর রহিম, হাত পাখা মার্কায় লোকমান হোসেন এবং আনারস মার্কায় লোকমান হোসেন। মধ্য জাফলং ইউনিয়নে ষতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাইদুর রহমানের ঘোড়া প্রতীক এবং লোকমান হোসেনের আনারস মার্কার মধ্যে মুল প্রতিদ্বন্ধীতার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক আহমদের নৌকা প্রতীকের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না।