স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে গত রোববার সন্ধ্যারাতে খুন হন বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল। এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার জন্য বরিশাল বিভাগীয় জনসাধারণ, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সব স্তরের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে। পাশাপাশি আগামী বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো সফল করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সভায় সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ছাত্রনেতা অমিত হাসান অনীককে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে’ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে হত্যাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কালামকে প্রকাশ্যে গাড়ি থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থায়ী কমিটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, এই ধরনের হত্যাকাণ্ড দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পরিচায়ক। সভায় অবিলম্বে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সভায় নিহত আ ফ ম কামালের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
এ ছাড়া স্থায়ী সভায় বরিশালের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলায় হামলা ও মামলা দায়েরের নিন্দা জানানো হয়। অবিলম্বে গ্রেফতারদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এছাড়া গ্রেফতার নেতাকর্মীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা আইনজীবী ফোরামকে অনুরোধ করা হয়।