স্টাফ রিপোর্টার:
ওয়ান ইলেভেনের পর সংস্কারবাদী রাজনীতিক হিসাবে পরিচিতরা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা নিজ অনুসারী সহ দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ভিড়তে চাইছেন। অনেক চেষ্টা করে নেতা-কর্মীদের কাছে টানছেন তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সংস্কারবাদীদের ডাক পড়বে-এমন অপেক্ষায় আছেন সেই রাজনীতিকরা।
বিদেশের আয়েশি জীবন শেষে তাদের অনেকেই এলাকামুখী হয়েছেন। অনেকটা নিজ গরজে যাচ্ছেন দলীয় কর্মসূচিতে।
ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে দেশের প্রধান দুইদল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অনেক কেন্দীয় নেতা সংস্কারবাদী তালিকায় নাম লিখান। কেউ কেউ নানা কারণে নিষ্কিয় হয়ে পড়েন। যারা রাজনীতিতে নিষ্কিয় ছিলেন তাদেরকেও সমালোচকরা সংস্কারবাদী হিসাবে আখ্যায়িত করেন। প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাবেক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমদ চৌধুরী, আওয়ামীলীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা সংস্কারবাদী হিসাবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে পরিচিতি পান। বর্তমানে তৃণমূল পর্যায়ে সতন্ত্র থেকে নির্বাচিত বর্তমান এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বাদে বাকিদের কারোরই শক্ত অবস্থান নেই। সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তারা ভিন্ন আঙ্গিকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইলেও নেতা-কর্মীরা তাদের গ্রহণ করেছেন না বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির প্রথম সারির এক নেতা জানান, বিএনপির সংস্কারবাদীদের সম্পর্কে হাইকমান্ড খুবই সতর্কভাবে এগুচ্ছে। আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হলেও তাহার অবস্থান ভালো। তার আসনে জাতীয় পার্টি থেকে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সংস্কারবাদী নের্তারা হাইকমান্ডের সুদৃষ্টির জন্য তদবিরও করেছেন। কথিত সংস্কারবাদী নেতাদের আশা অতিরেই তাদের ডাক পড়বে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল এলাকায় দলকে চাঙ্গা করতে তাদের মাঠে নামাতে পারে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এই নেতাদের।
জানা যায়, ইনাম আহমদ চৌধুরী বেশিরভাগ সময় দেশের বাইরে ও ঢাকায় অবস্থান করেন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী সহ অনেকে দেশ ও বিদেশে অবকাশ যাপন করেছেন, অন্য কেউ তাদের ব্যবসা দেখভাল করছেন।
সংস্কারবাদী এক নেতা প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজনীতিতে সংস্কাবাদী বলতে কিছু নেই। এখানে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি হাইকামান্ড যা বলবেন তাই করতে হবে। বিএনপি দলীয় সাবেক এক সংসদ সদস্য জানান, বিএনপির হইকমান্ড দলকে চাঙ্গা করতে আমাদের দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে।
এই সংবাদটি পড়া হয়েছে : 1.3K বার